ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা বের করার নিয়ম

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান কিভাবে করবেন, আপনি যে ধরনের পর্চা অনুসন্ধান করতে চান অর্থাৎ বি এস, সি এস, বি আর এস,আর এস, এস এস ইত্যাদি যেকোনো ধরনের পর্চা  অনুসন্ধান করতে চান সে ক্ষেত্রে সঠিক পর্চা নাম সিলেক্ট করে দিতে হবে। 

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান ই পর্চা ব্যবহারের ফলে আমরা ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে জমির দলিল পত্র, খতিয়ান, দাগ নম্বর ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারি। আজকে আমরা এই পোস্টটির সব বিস্তারিত আলোচনা করব আপনি কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খতিয়ানসহ বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র অনুসন্ধান করবেন। 

পেজ সূচিপত্রঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান 

  • ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান 
  • অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান
  • ই পর্চা কি
  • পুরাতন দলিল বের করার নিয়ম 
  • দলিলের নকল তোলার খরচ ও নিয়ম 
  • কিভাবে জমির মালিক খুঁজে বের করবেন
  • জমির দাগ নম্বর দিয়ে কিভাবে খতিয়ান বের করবেন
  • জমির দলিল উঠানোর নিয়ম 
  • শেষ কথাঃই পর্চা খতিয়ান  অনুসন্ধান 

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান 

ই পর্চা এমন একটি সেবা প্রক্রিয়া যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণকে জমি জমা সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হয়। পূর্বে সুমি জমার রেকর্ড সংগ্রহের জন্য জমির মালিকেরা অনেক শিকার হত, কিন্তু বর্তমানে অনলাইনের জগতে খুব সহজেই জমিজমা সংক্রান্ত যত সেবা আছে সবকিছু অনেক দ্রুত প্রদান করা হয়। ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান হচ্ছে বাংলাদেশের একটি আধুনিক প্রক্রিয়া। ই পর্চা ব্যবহারের ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন জমির খতিয়ান জমির  বেচাকেনা এবং জমির দাগ নম্বর ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে এই পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়। কেননা ই পর্চা খতিয়ান  আমাদের বাংলাদেশের একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেখানে আমরা খুব সহজে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জমির সংক্রান্ত সকল তথ্য জমির রেকর্ড সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারি। 

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য সাধারণ কিছু তথ্য। যেমনঃ
বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা 
জমির দাগ নাম্বার এবং মালিকের নাম 
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমে যেতে হবে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে https://www.eporcha.gov.bd/ এখান থেকে সার্ভে খতিয়ান অপশনটিকে বাছাই করতে হবে। 

ই পর্চা ব্যবহার করে আমাদের দৈনন্দিন জীবন দিন দিন অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। কেননা আগে মানুষ নিজের জমির প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড জমির দাগ নম্বর ইত্যাদি কাগজপত্র নেয়ার জন্য মানুষ ভূমি মন্ত্রণালয় এছাড়া বিভিন্নভাবে  কাগজপত্র নিয়ে থাকতো। কিন্তু এখন আমাদের দেশে এই ই পর্চা ব্যবহার করে খুব সহজে আমরা চাইলে ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে জমির সংক্রান্ত সকল ধরনের কাগজপত্র ডকুমেন্ট বের করতে পারি। আপনি যদি আপনার জমির প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বের করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে নিচে ই পর্চা ব্যবহার করা নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান 

অনলাইনে নামজারি অনুসন্ধান সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে কিছু আলোচনা করব। আমরা ঘরে বসেই এখন আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারি অনলাইনের মাধ্যমে। যেকোনো কাজ খুব সহজে আমরা অনলাইনে করতে পারি। ফলে আমাদের কাজ করতে খুব সুবিধা হয়। ঠিক একই ভাবে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান থেকে খুব সহজেই জমির সকল ধরনের তথ্য জানতে পারি। 
এখানে আপনার জমি যে বিভাগে আছে সে বিভাগটি বাছাই করতে হবে। আপনার বিভাগ নির্বাচন করার পর জেলা নির্বাচন করা অপশন আসবে সেখান থেকে আপনার জেলা নির্বাচন করতে হবে। এবং এখানে আপনার খতিয়ানের ধরনের্বাচন করুন আমাদের দেখানোর নিয়ম অনুসরণ করে সেখানে থাকা সব ধরনের খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। খতিয়ান দরুন বাছাই করার পর মৌজা বাছাই করুন এক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার মৌজা কোনটি তারপর বাছাই করুন। শেষে খতিয়ান তালিকা অপশনে আপনার ই র্চা নাম্বার দিয়ে খুজন বাটনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পরে আপনার খতিয়ানটর তথ্য দেখতে পারবেন। 

আপনি যদি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান। তাহলে আপনাকে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে উপরের থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করে ডেক্সটপ মোড় করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে "dlrms.land.gon.bd"লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে। তাহলে আপনার কাঙ্খিত ইনফরমেশন জানতে পারবেন খুব সহজে। এরপর আপনাকে নিচে আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং মৌজা ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য পুরন করে সাবমিট দিতে হবে।


এর ফলে আপনি খুব সহজে আপনার নাম জারি খতিয়ান দেখতে পারবেন। আপনি যদি আজকের এই সকল নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তাহলে আপনিও ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা ডিভাইস ব্যবহার করে সকল ধরনের ডকুমেন্ট অনলাইন এর মাধ্যমে বের করতে পারবেন। আশা করি এখন আপনারা খুব সহজেই খতিয়ানটি ডাউনলোড করতে পারবেন।  

ই পর্চা কি 

মূলত ভূমির বা জমির মালিকানা ও অন্যান্য ভূমি সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটাল প্রদর্শন করে এই ই পর্চা।বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি যে সেবা,যার মাধ্যমে জমির খতিয়ান মালিকানা রেকর্ড জমির সীমানা ইত্যাদি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়। 
ই পর্চা সম্পর্কেঃ

  • অনলাইনে সেবাঃই পর্চা সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি আপনার জমির খতিয়ান বা ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য অনলাইনে পরীক্ষা করতে পারেন, ভূমি অফিসে সরাসরি পাওয়া যেত। কিন্তু এখন এটি খুব সহজেই আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন। 
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টঃসাধারণত বমি সংক্রান্ত লেনদেন মামলা বা বিক্রির কাজে প্রয়োজন হয়। তাই এটি জমির মালিকের বৈধ অধিকার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। 
  • ভূমি রেকর্ডের সংস্করণঃই পর্চা বমির মালিকানা, সীমানা ও শর্তাবলী এবং অন্যান্য তথ্য সহজে প্রমাণ করতে সাহায্য করে। 
  • অধিকার সংক্রান্ত তথ্যঃএটি ব্যবহার করে মূলত আপনারা জানতে পারবেন জমির মালিক কে জমির আকার, অবস্থান, জমির নাম বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি। 
ই পর্চা যেভাবে পাবেন:
আপনি বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ই পর্চা সিস্টেমের মাধ্যমে অনলাইনে বা ভূমি অফিসে গিয়ে এটি পেতে পারেন। খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য আপনার জমির রেকর্ড নম্বর বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। এটি মূলত ভূমি মালিকদের জন্য একটু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল সেবা জমির তথ্য সহজে স্বচ্ছ ভাবে পাওয়ার সুযোগ দেয়। 

পুরাতন দলিল বের করার নিয়ম 

পুরাতন দলিল কিভাবে বের করবেন আজকে আপনাদের সাথে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা অনেকেই পুরাতন দলিল বের করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। আপনাদের পরিবার আত্মীয়-স্বজন অথবা পুরাতন জমির দলিল কিভাবে বের করবেন সকল কিছু বিস্তারিত নিয়ে থাকছে আজকের এই পোস্টটি। সাধারণত মানুষ দলিল পত্র বের করতে অনেক টাকা খরচ করে থাকে, কিন্তু আজকে আপনি জানতে পারবেন ঘরে বসে কিভাবে খুব সহজেই অনলাইন এর মাধ্যমে পুরাতন দলিল বের করা যায়। 

বর্তমানে আমাদের দেশ অনেক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেননা আগে যে কাজগুলো আমরা অনেক কষ্ট করে ছোটাছুটি করে যে ধরনের কাজ করতে পারতাম না।এমনকি অনেক সময় অনেক জায়গায় টাকা খরচ করো জমির দলিল বের করতে হয়েছে। কিন্তু এখন চাইলে আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে আপনার পুরনো জমির দলিল সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট খুব সহজেই বের করতে পারবেন। এইজন্য আজকে এই পোস্টটি আপনাকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

অনলাইনের মাধ্যমে পুরানো দলিল কিভাবে বের করবেন আপনি হয়তো এটাই ভাবছেন। তাহলে ঠিক ভেবেছেন কেননা আজকে আমরা আপনাদের দেখাবো কিভাবে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে পুরনো দলিল  বের করতে পারবেন। কিন্তু পুরনো দলিল বের করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় দুইটি জিনিস জানা লাগবে। প্রথমত আপনি যার জমির দলিল বের করতে যাচ্ছেন তার নাম আপনাকে জানতে হবে। যে জমির দলিল বের করতে যাচ্ছেন সেই জমির শেষ রেজিস্ট্রেশন কত সালে হয়েছে সেটি অবশ্যই আপনাকে জানা থাকতে হবে। নাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সেই পুরনো দলিল বের করতে পারবেন না। 

এবার পুরোনো দলিল  কিভাবে বের করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে পুরনো দলিল বের করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি সেটিং অন করে নিতে হবে।আপনি আপনার মোবাইল ফোনের ক্রোম ব্রাউজার গিয়ে উপরের কর্নারের একটি থ্রি ডট আইকন দেখতে পারবেন সেখানে একটু নিচে গিয়ে দেখবেন ডেক্সটপ মোড লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করলে আপনার ডেস্কটপ মোড অর্থাৎ ল্যাপটপ এর মত স্কিন চলে আসবে। আর যদি আপনি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থেকে করে থাকেন তাহলে কোন কিছু অন করার দরকার নেই। 

আপনি আপনার ডিভাইসে ক্রোম ব্রাউজার এ গিয়ে "e registration"ই রেজিস্ট্রেশন লিখে সার্চ করবেন। প্রথমে যে ওয়েবসাইট আসবে সে ওয়েবসাইট ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেখানেই আপনারা সেই কাঙ্খিত পুরনো দলিল বের করা ওয়েবসাইটে চলে আসবে। এরপর নিচে দেখতে পাবেন আপনি কোন ধরনের দলিল বের করতে চাচ্ছেন। আমরা যেহেতু পুরনো দলিল বের করব।সেহেতু সেখানে ক্লিক করে আপনি যার জমির উপর পুনরায় বের করতে চাচ্ছেন তার সঠিক নাম দিতে হবে। এখানে একটি কথা মাথায় রাখবেন,আগে মানুষ কিন্তু বাংলায় স্বাক্ষর লেখলে তালিকা করতো কিন্তু এখন সকল কিছু পাল্টে গেছে। 

তাই আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি যার জমির দলিল বের করতে চাচ্ছেন তার সঠিক ইংরেজি নাম দিয়ে সার্চ করতে হবে। এরপর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে এটি হচ্ছে আপনি যে জমির দলিল বের করতে চাচ্ছেন কত সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সেই সালটি আপনাকে ফাঁকা ঘরে বসাতে হবে। এখানে কিন্তু সঠিক রেজিস্ট্রেশন সাল উল্লেখ করে দিতে হবে।না হলে আপনি সঠিক দলটি খুঁজে পাবেন না। সঠিক তথ্য দেওয়ার পর আপনার পুরনো দলিলের সেই ওয়েবসাইটে চলে আসবেন, চাইলে আপনি সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। 

দলিলের নকল তোলার খরচ ও নিয়ম 

দলিলের নকল তোলার খরচ  ও নিয়ম এবং নকল দলিলের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। নকল দলিল অনেক কাজে আসে, আমরা যখন নতুন জমি ক্রয় করে থাকি তখন কিন্তু আমাদের নতুন দলিল তৈরি হতে সময় লাগে এক বছর।এর মধ্যে আমাদের বিভিন্ন কাজে দলিল প্রয়োজন হয় এই সময়টি কিন্তু নকল দলিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 
  • দলিলের নকল তুলবেন কিভাবে 
  • দলিলের নকল তুলতে কত টাকা খরচ হয়ে থাকে 
আপনি যখন আপনার নতুন দলিল করতে দিবেন তখন আপনি অবশ্যই সেই ভূমি অফিসে বলবেন সিলেট দুই কপি করে বের করতে, তাহলে সেই দলিলের নকল দুই কপির মধ্যে এক কপি আপনার নিজের কাছে রাখবেন। আর এক কপি আপনার আসল দলিলের জন্য দিয়ে রাখবেন। তাহলে সেই দলিলের নকল দিয়ে আপনার জমি সকল ধরনের চার্জ পূরণ করতে পারবেন। চাইলে আপনি এই জমির দলিলের নকল তোলার জন্য আপনার উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে বললে,সেখান থেকে আপনাকে আপনার জমি নকল বের করে দেয়া হবে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে। 

দলিলের নকল তুলতে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা চার্জ করে থাকে কিন্তু অঞ্চল ভেদে একেক অঞ্চলের খরচ একেক রকম।কিন্তু সর্বোচ্চ খরচ ২০০০ টাকা। আপনার নকল আপনাকে বের করে দিয়ে দিবে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে। জমি নকল করতে কত টাকা খরচ হয় এবং কি কি করতে হয় আজকের এই পোস্ট থেকে বুঝতে পেরেছেন। 


কিভাবে জমির মালিক খুঁজে বের করবেন 

জমির মালিকের তথ্য খুঁজে বের করতে চাইলে আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। সকল ধরনের জমির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য ভূমি অফিস বা ই পর্চা এর মাধ্যমে পাওয়া যায়। যেভাবে আপনারা জমির মালিকের তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন তার কিছু পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলঃ

ই পর্চা ব্যবহার করেঃবাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ই পর্চা সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি সহজেই জমির মালিক খুঁজে বের করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে অনলাইনে জমির খতিয়ান এবং মালিকের তথ্য দেখা যায়। তাই আপনাকে নিজের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করতে হবে। 
ভূমি অফিসে সরাসরি যোগাযোগঃযদি আপনি অনলাইনেই পর্যায়ে খুজে না পান, তবে আপনি আপনার এলাকার ভূমি অফিসে সরাসরি গিয়ে জমির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারেন। ভূমি অফিসে গিয়ে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবেঃ

  • জমির রেকর্ড নম্বর (যদি জানা থাকে) 
  • জমির মৌজা নাম ও ঠিকানা (যদি জানা থাকে) 
  • জমির কত নম্বর খতিয়ান এ জমির মালিকানা রেকর্ড করা রয়েছে। 
ভূমি অফিসে গিয়ে আপনি খতিয়ান, নামজারি বা ভূমি  রেজিস্টার এর মাধ্যমে জমির মালিকানা তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। 

জমির নাম জারি তথ্যঃনামজারি হল জমির মালিকানা বদল বা নতুন মালিকের নাম যুক্ত করা।আপনি যদি পুরনো বা নতুন নামজারি সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান, তবে নামজারি রিপোর্টের মাধ্যমে জমির  মালিকের নাম জানা সম্ভব।

রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমেঃযদি জমি বিক্রি ক্রয়ের  মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে থাকে, তবে আপনি স্থানীয় রেজিস্ট্রি অফিসে থেকে জমির মালিকানা পরিবর্তনের রেকর্ড দেখতে পারেন।এভাবে আপনি জমির মালিকের তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন। তবে, প্রাপ্তি ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা বা প্রক্রিয়া থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিতে হবে।  

জমির দাগ নাম্বার দিয়ে কিভাবে খতিয়ান বের করবেন 

জমির দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার জন্য আপনি অনলাইনে পেতে পারেন। এমনকি যদি আপনি জমির চিহ্ন নম্বর জেনে থাকেন এর জন্য নিচের ধাপ গুলি মনে রেখে অনলাইনের খতিয়ান বের করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ভূমি মন্ত্রণালয় একটি অনলাইন সেবা প্রদান করে থাকে, যা দিয়ে আপনি সহজে জমির খতিয়ান বা দাগ নম্বর দিয়ে মালিকের তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন। 

সঠিক তথ্য প্রদান করলে আপনি আপনার জমির খতিয়ান বা মালিকের তথ্য প্রদর্শিত হবে। অনুসন্ধান করুনঃআপনি জমির দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বা মালিকের তথ্য পেতে পারবেন, যেমন মালিকের নাম, জমির পরিমাণ, সীমানা ইত্যাদি। আশা করছি আপনি  বুঝতে পেরেছেন কিভাবে জমির দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করতে হবে। 

জমির দলিল উঠানোর নিয়ম 

জমির দলিল উঠানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত করব সঠিক নিয়ম জানতে নিচের তথ্যগুলো পড়ুন। জমির দলিল যদি আপনি উত্তোলন করতে চান সে ক্ষেত্রে কোথা থেকে কিভাবে কোন পদ্ধতিতে অনুসরণ করে আপনাদের জমির দলিলটা আপনি উত্তোলন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

আমরা জেনে নেই যে একটি জমির দলিল কোড পদে অনুসরণ করে কোথা থেকে কিভাবে উত্তোলন করতে হয়।একটি জমির দলের দুই পদ্ধতিতে উত্তোলন বা তোলা যায় এক্ষেত্রে প্রথম যে পদ্ধতি রয়েছে। সেটা হচ্ছে যে আপনি যে জমির দলিলটা উত্তোলন বাও তুলতে চান। ওই জমির দলিলের সি এস,  আর এস অথবা বি এস দাগ নম্বর আপনাকে জানতে হবে।আর এস অথবা বি এস দাগ নম্বর আপনি জেনে নিবেন আপনার পাশের ভূমির অফিস থেকে তো এই দাগ নম্বর জানার পর আপনাকে যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।   

 আপনার জমিটা সর্বশেষ কার নামে জারি করা হয়েছে এবং এই নাম যাদের যে নথিপত্র রয়েছে। এখানে কিন্তু এই জমির দলিলের দাগ নম্বরটা দেওয়া থাকবে এখান থেকে নাম জারে তারিখ ও দাগ নম্বরটা নিবেন। এই জমির দলিলের নম্বরটা দেখার পর আপনি জমির দলিলটা দুইটা জায়গা থেকে তুলতে পারবেন, বা উত্তোলন করতে পারবেন। দলিলের দাগ নম্বর দেখার পরে আপনি সার্টিফাইড কপির জন্য কিন্তু আবেদন করতে পারবেন। আপনি কোথা থেকে তুলতে পারবেন সেটা হচ্ছে দ্বিতীয় বিষয় থেকে তুলতে পারবেন। 

যদি পাঁচ ৬ বছর পূর্বে দলিল হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি অফিস থেকে তুলতে পারবেন। এই জমির দলিলটা যদি আরো পূর্বের হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি এই জমির দলিলটা ডিসির রেকর্ড রুম থেকে এই দলিলটি তুলতে পারবেন। ডিসি অফিসে আবেদন করে এটি দলিলের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করলে আপনাকে একটি জমি দলের প্রদান করা হবে। যদি আপনার সিরিয়াল আর এস বা বি এস খতিয়ান দাগ নম্বর যেটা রয়েছে সেটা যদি আপনি না পান সে ক্ষেত্রে আপনার এই জমিটা সার্চ করতে হবে। 

আপনিও অফিস থেকে খুব সহজেই আপনার জমির জরের উত্তোলন করতে পারবেন। আশা করি আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে যে জমির দলিল উত্তোলন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। কিন্তু আপনাদের অবশ্যই উপরের যেসব ডকুমেন্টের কথা বলা হয়েছে সেগুলো ছাড়া আপনি কখনো আপনার দলিল উত্তোলন করতে পারবেন না। এজন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে আপনার দলিল উত্তোলন করতে পারবেন। 

শেষ কথাঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান 

আশা করছি ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে আপনারা সকল ধরনের তথ্য ও বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। উপরের পোস্টগুলোতে আজকের জমির দলের খতিয়ান ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যারা আপনারা জমির খতিয়ান বের করার জন্য দোকানে অথবা ভূমি অফিসে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন। তারা এখন ঘরে বসে হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে খুব সহজে অনলাইন থেকে জমি সংক্রান্ত সকল ধরনের ডকুমেন্ট কাগজপত্র বের করতে পারবেন।

এমন অনেক ধরনের প্রয়োজনে কাগজপত্র আছে যেগুলো আপনাকে শুধুমাত্র আপনার উপজেলার ভূমি অফিস থেকে তুলতে হতে পারে। এই জন্য যে কোন জমি সংক্রান্ত কাজে আপনি চাইলে আপনার উপজেলার ভূমি অফিস দিয়ে পর্যালোচনা করে সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করতে পারবেন । 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জুঁই ২৪নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url