কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদের সামনে এনার্জি মিটার বিদ্যুৎ বিল হিসাব নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা বাসা বাড়িতে কি পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি আর কি পরিমান বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে তার একটি সহজ বিদ্যুৎ বিল হিসাব দেখাবো। তবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার আগে আমাদের বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
সূচিপত্রঃকারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
- বিদ্যুৎ বিল হিসাব
- বিদ্যুৎ লোডের হিসাব
- বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব
- বাস্তবিক হিসাব
- কারেন্ট বিল বেশি আসার কারণ কি
- বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর কতিপয় সাধারণ বিধি
- কারেন্ট বিল সঠিক কিনা দেখুন
- বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
- শেষ কথাঃকারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
বিদ্যুৎ বিল হিসাব
বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য প্রথমে আমরা একটি নিয়ম অনুসরণ করবো এবং পরে তার বাসা বাড়িতে বা যে কোন স্থানে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য ব্যবহার করতে পারবো।
নেট বিল= এনার্জি+ মিটার বিল
এনার্জি বিল =এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ (kWh) প্রতি ইউনিটের মূল্য
মিটার বিল =ডিমান্ড চার্জ+সার্ভিস চার্জ
ডিমান্ড চার্জ =১৫ টাকা পার কিলোওয়াট
সার্ভিস চার্জ =১০ টাকা সিঙ্গেল ফেজ এর জন্য ৩০ টাকায় থ্রি ফেজের জন্য
ভ্যাট =নেট বিলের সাথে ৫% যোগ
নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর বিল পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা =নেট বিল এর সাথে ৫% যোগ
বাসা বাড়িতে আমরা যে ধরনের লোড ব্যবহার করি -
- লাইট সাধারণত =১৫-২০০ ওয়াট
- ফ্যান সাধারণত=৫০-৮০ ওয়াট
- টেলিভিশন =২৫-১০০ ওয়াট
- ল্যাপটপ =২০-৬০ ওয়াট
- রেফ্রিজারেটর =৮০-২০০ ওয়াট
- এসি=১০০০-৩০০০ ওয়াট
- আয়রন=৫০০-১০০০ ওয়াট
- পাম্প মোটর =১/৮ থেকে ৩ হর্স পাওয়ার
- ডেস্কটপ কম্পিউটার =৮০-২৫০ ওয়াট
- ও ইত্যাদি। আমরা বলছি না যে এই লোডগুলো ব্যবহার করবো এবং তা এই ওয়াটার ভিতরেই।এই লোড এবং ওয়াটগুলো দেওয়া হয়েছে আপনাদের সাধারণ একটা ধারণা দেবার জন্য।
বিদ্যুৎ লোডের হিসাব
উপরোক্ত আলোচনা আমরা দেখেছি বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য একটি নিয়ম। সেখানে উল্লেখ আছে নেট বিল =এনার্জি বিল +প্লাস মিটার বিল
এনার্জি বিল জানার জন্য এবার প্রথমে আমাদের জানতে হবে এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ (kWh) ও প্রতি ইউনিটের মূল্য তাহলে আমাদের ৯০% কাজ শেষ।
এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ জানার জন্য আমাদের লোডের হিসাব করতে হবে অর্থাৎ কি কি লোড আমরা ব্যবহার করছি সেই লোডগুলো কত ওয়াটের।
লোডের হিসাবঃ
- যদি লোড হওয়াতে দেওয়া থাকে তাহলে সেটা W এর মান।এখানে W মানেই watt.
- লোডে কারেন্ট এবং ভোল্টেজ মান দেওয়া থাকলে তা পাওয়ার এর সূত্র দিয়ে বের করতে হবে। পাওয়ার এর সূত্র শুরুতে প্রথমে ইনভার্টেড কমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
- হর্সপাওয়ার দেওয়া থাকলে 746 দিয়ে গুণ করে W মানে watt নিতে হবে ।
- W কে kW নিতে হবে অর্থাৎ w কে ১০০০ বিয়ে ভাগ করে কিলোওয়াট নিতে হবে।
- kW কে সময় (ঘন্টা) দিয়ে গুন করে ইউনিট বের করতে হবে।
বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব
এবার একটি বাসা বাড়ির উদাহরণ দেখাবো যেখানে প্রতি মাসে কেমন বিল আসতে পারে।
উদাহরণঃএকটি বাসা বাড়িতে 80 watt এর দুটি ফ্যান, 40 watt এর 3টি লাইট, 220V,0.4A,0.8pf এর একটি টেলিভিশন এবং 2hp এর একটি পানি তোলার মটর দৈনিক গড়ে 6 ঘন্টা করে চলে। তাহলে ডিসেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল কত টাকা হবে যদি প্রতি ইউনিটের মূল্য 6.5 টাকা করে হয়??
সমাধানঃ
80 ওয়াটের 2টি ফ্যান 1 দিনে যে ওয়াট খরচ করবে=80*2=160W
40 ওয়াটের 3টি লাইটের জন্য 1 দিনে যে ওয়াট খরচ করবে =40*3=120W
1 টি টেলিভিশনের জন্য 1দিনে যে ওয়াট খরচ করবে P=VICoso=220*0.4*0.8=70.4W
2hp একটি মোটর 1 দিনে যে ওয়াড খরচ করবে 2*746=1492W
তাহলে ১ দিনে সর্বমোট যে ওয়াট খরচ হবে=(120W+160W+70.4W+ 1492W)=1842.4W
আমরা জানি ওয়ার্ডকে 1000 দিয়ে ভাগ করলে কিলোওয়াট (kW)পাবো।
তাহলে ১দিনে যে কিলোওয়াট খরচ হবে =1842.4/1000=1.8424 kW
আমাদের লোড গুলো কিন্তু সারাদিন 24 ঘন্টা চলবে না। শুধুমাত্র ৬ ঘন্টা চলবে যা আমরা উদাহরণে দেখেছি।
তাহলে ৬ ঘন্টা করে চললে=1.8424*6=11.0544kWh
এবার আমরা পুরো মাসের মোট ইউনিট খরচ বের করব।
ডিসেম্বর মাস = ৩১ দিনে তাহলে এই মাসে মোট ইউনিট খরচ হবে = 11.0544*31=342.686kWh (ইউনিট)
দেওয়া আছে প্রতি ইউনিটের মূল্য 6.5টাকা করে।
ওই মাসের বিদ্যুৎ বিল হবে =342.686*6.5=2227.46 টাকা।
বাস্তবিক হিসাব
আমরা এখন যে হিসাবটি দেখলাম এটা পাঠ্যপুস্তক এর একটি গাণিতিক সমাধান মাত্র। এবার যদি বাস্তব চিন্তা করে তাহলে কি হবে?? হ্যা,মেরে বাস্তবিকভাবে চিন্তা করতে গেলে আমাদের গাণিতিক সমাধানের 342.686kWh থামতে হবে।
এর কারণ একটা বাসা বাড়ির রোডের হিসাব ও ওয়াট আমরা উপরোক্ত গাণিতিক নিয়মে বের করব। আমরা প্রথমে বলেছি,
নেট বিল=এনার্জি বিল +মিটার বিল
এনার্জি বিল =এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ (kWh)*প্রতি ইউনিটের মূল্য
ইউনিট 342.686 kWh অনুসারে ইউনিট (টাকা) চতুর্থ (d) স্টেপে আছে। তাহলে ছবি অনুসারে আমরা বিদ্যুৎ বিলকে ভাগ করবো।
- ১ থেকে ৭৫ =৭৫
- ৭৬ থেকে ২০০=১২৫
- ২০১ থেকে ৩০০= ১০০
- ৩০০ থেকে ৩৪২.৬৮৬=৪২.৬৮৬
সর্বমোট = ৭৫+১২৫+১০০+৪২.৬৮৬=৩৪২.৬৮৬ ইউনিট
ওই মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য এনার্জি বিল = (৭৫*৩.৮)+(১২৫*৫.১৪)+(১০০*৫.৩৬)+(৪২.৩৮৬*৫.৬৩)=১৭০৩.৮২ টাকা।
সার্ভিস চার্জ =১০ টাকা
ডিমান্ড চার্জ =১৫ টাকা
ভ্যাট =৫%
মিটার বিল =ডিমান্ড চার্জ +সার্ভিস চার্জ =১৫+১০=২৫টাকা
মোট বিল =(১৭০৩.৮২ * ৫%= ৮৬.৪৪ টাকা
মিটার ভাড়া ১p= ৪০টাকা
তাহলে নেট বিল= ১৭২৮.৮২+৮৬.৪৪=১৮৫৫.২৬ টাকা
নোটঃনির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে না পারলে অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে ৫%
কারেন্ট বিল বেশি আসার কারণ
এই পোস্টটিতে আমি আপনাদের জানাবো কেন বা কিভাবে কারেন্ট বিল বেশি আসে। অনেক সময় আমরা খুব কম কারেন্ট ব্যবহার করেও দেখা যায় মাস শেষে কারেন্ট বিল বেশি আসছে। এটার মূলত কারণ কি তা জানতে হলে আপনাদের পুরা পোস্টে পড়তে হবে।
আপনার বিদ্যুৎ বিলের যদি রেডিং বা বিল অস্বাভাবিক মনে হয় সে ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি বা আদৌ আপনি যাচাই করতে পারবেন কিনা তা সব জায়গায় দেখবেন যে বলা হয় যে আপনি অফিসে যান অফিসে যে একজন পরামর্শ করবেন আবেদন করেন। তারা আপনাকে বলে বা দেখিয়ে দিবে।
আপনারা অনেকে আছেন যারা এ পর্যন্ত যেতে পারেননি।কারণ যাদের কাছ থেকে অফিস অনেক দূরে বা হচ্ছে আপনি অফিসে যেতে আপনার দিনের অন্য কোন কাজ পেলে যেতে হয় সে ক্ষেত্রে আপনি হয়তো বা বিভ্রান্ত থাকেন যে আপনি অফিসে যাবেন কিনা,তো যদি এমনটা হয় যে আপনি বিদ্যুৎ বিল এর কাগজ হাতে পাওয়ার পর নিজেই যাচাই করতে পারবেন যে আপনার বিদ্যুৎ বিলটা সঠিক এসেছে কিনা। কীভাবে বের করবেন চলুন জেনে নেই।
আজকে আমরা আপনাদের সাথে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যে চারটি বিষয় আপনি চেক করলে আপনি শতভাগ না হলেও প্রায় ৯৯ ভাগ সিওর হয়ে জানতে পারবেন আপনার বিদ্যুৎ সঠিক আছে নাকি ভুল।
তো চলুন আপনাদের এই চারটি বিষয়ে আমি নিচের লিখে দিচ্ছি।
বিদ্যুৎ বিলে থাকা মিটারের নম্বর মিলিয়ে দেখতে হবে।
মিটার নষ্ট হয়েছে কিনা অথবা ব্যবহার ছাড়া রিডিং আসছে কিনা দেখতে হবে।
মিটারের রিডিং মিলে দেখতে হবে
মিটারের পর হতে ব্যবহার আর বেশি কিংবা ওয়ারিং ত্রুটি আছে কিনা দেখতে হবে।
যদি আপনি আপনার মিটারের সন্দেহ হয় মিটারের বিল ও স্বাভাবিক এসেছে, তো সেই ক্ষেত্রে যে করনীয় মিটারের বিল অস্বাভাবিক সম্ভাব্য কারণগুলো এখানে আপনাদের খুব সহজে বোঝানোর চেষ্টা করব। প্রথমে যেটা করতে হবে বিদ্যুৎ বিল এর কাগজটি হাতে পাওয়ার পর প্রথম কাজ হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলের কাগজের উপরে এক জায়গায় খেয়াল করে দেখবেন একটা মিটার নাম্বারের কথা বলা হচ্ছে তো এই মেয়েটার নাম্বারটা আপনার বিলের কাগজে যে মেয়েটার নাম্বারটি দেওয়া রয়েছে সেই নাম্বার আর আপনার মিটারের নিচের দেখবেন একটা নাম্বার দেওয়া রয়েছে সে দুইটা নাম্বার মিলিয়ে দেখবেন।
যদি মিলে যায় তাহলে বসবেন আপনি যে মিটারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন সেই মিটার টেবিল আপনার কাছে এসেছে এরপর আপনার মিটারের রিডিং অর্থাৎ আপনি যে সেটি যে রিডিং এসেছে মিটারে সঠিক আছে না ভুল আছে তা ভালো করে চেক করবেন।
বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
বিদ্যুৎ বিল সাধারণত পরিষদ করার যেগুলো নিয়ম রয়েছে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। খুব সহজে আপনারা কিভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবেন আজকে তা আপনাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানাবো। আপনি যদি খুব সহজেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে চান তাহলে দয়া করে আমার এই পুরো পোস্টটি পড়বেন। তো চলুন আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়।
আপনি প্রথমে আপনার বিকাশের অ্যাপে যাবেন, অ্যাপসে আসার পর এখান থেকে পে বিল নামে একটা অপশন রয়েছে।পেবিল জাস্ট এই পেবিলে একটা ক্লিক করছি। ক্লিক করার পর এখান থেকে বেশ কিছু অপশন আসবে, তার মধ্যে হচ্ছে বিদ্যুতের অপশনটা প্রথমে রয়েছে দেখেন। প্রথমেই রয়েছে দেখেন বিদ্যুৎ জাস্ট আমরা এই বিদ্যুৎ বউ ক্লিক করার পর আপনার এটা যদি পল্লী বিদ্যুৎ হয়ে থাকে তাহলে পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড হয়ে থাকলে পোস্টপেইড অথবা যদি আপনার এটা ডেস্কো হয়ে থাকে, তাহলে ডেসকো দিবেন। অথবা আপনার এটা ডিব ডিসি হয়ে থাকে তাহলে ডিপিডিসি দিবেন।
অপশনটি সিলেট করার পর এখান থেকে কাস্টমার নাম্বার দিতে বলবে। কাস্টমার নাম্বার কোথায় পাবেন আপনার কাছে যে বিলের কাগজটি আছে সে বিলের কাগজে কিন্তু একটা কাস্টমার নাম্বার পাবেন। আপনার বিলের কাগজে কাস্টমার নাম্বারটা উপরের দিকে লেখা রয়েছে ঠিক আছে, জাস্ট এই নাম্বারটা এখানে বসিয়ে দেবেন। কাস্টমার নাম্বারটা বসিয়ে দেওয়ার পর এখানে পেবিল করতে এগিয়ে যান এর পাশে একটা তীর চিহ্ন আছে। এখানে একটা ক্লিক করে দেই। তাহলে দেখবেন এখান থেকে অটোমেটিক দেখাবে যে টোটাল কত টাকা বকেয়া রয়েছে।
আপনার এখানে যত পরিমান টাকা আপনাকে পরিশোধ করতে হবে সেই পরিমাণ টাকা কিন্তু আপনার বিকাশে একাউন্টে অবশ্যই থাকতে হবে। এরপর যে কাজটি করব পরেরটা পেয়ে যেতে টাইপ করে এর পাশে টির চিহ্নতে একটা ক্লিক করে দিব ক্লিক করে দেওয়ার পর আপনার পিন নাম্বারটা দিতে হবে। এখানে আপনি আপনার পিন নাম্বার টা দিয়ে দিবেন। তাহলে দেখবেন আপনার পিন নাম্বারটা দিয়ে দেওয়ার পরপর একটি ইন্টারফেস শো করবে। এখান থেকে পেয়ে বের করতে টেপ করে ধরে রাখুন জাস্ট এখানে একটু চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে, তাহলে আপনার বিয়ের পরিশোধ করা হয়ে যাবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর কতিপয় সাধারন বিধি
আপনার বিকাশ রকেট এবং অন্যান্য এমএফএস এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে আপনার মোবাইলে ফিরতি এসএমএস না আসা পর্যন্ত বিলটি অপরিশোধিত হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য যদি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কর্তৃপক্ষের কোন দায়ী নয়।
যদি কোন বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকের নিকট দুটি পূর্ণ কিংবা মিটারের রিডিং এর সহিত সামগ্রসহীন তাহার হইলে পরিশোধের তারিখের পূর্বে গ্রাহক অবশ্যই সমিতিকে তাহা অবহিত করবেন।
বিদ্যুৎ আইন এবং সমিতি পৌচালিত বিধি অনুযায়ী গ্রাহকের গৃহে স্থাপিত বিদ্যুতিক মিটারের রক্ষক গ্রাহক নিজেই। আজ এই মিটারের কোন ত্রুটি দেখলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হইলে গ্রাহক সাথে সাথে তাহা কারণ সমিতিকে অবহিত করবেন। সদস্য এই মর্মে জানানো যাইতেছে যে গ্রাহক মাসিক ভিত্তিতে বিল পেয়ে পরিশোধ করে থাকুক এবং তিনি পরবর্তী বিল যদি আনুমান নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে না পেয়ে থাকেন তবে অবশ্যই তার সাথে সাথে সমিতিকে অবহিত করবেন। কিন্তু বিল সাথে বিদ্যুৎ দিলে উল্লেখিত হেডিং মিটারের সাথে সাথে মিলিয়ে দেখুন কোন তারতম হলে সমিতিকে অবহিত করুন।
নিম্নলিখিত কারণ সমিতির সদস্যপদ বাতিল হতে পারেঃ
অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে।
বিল তৈরির ৯০ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে।
মিটারে উল্টাপাল্টা ঘোরানোর চেষ্টা করলে।
সমিতির কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত থাকাকালীন সময়ে সমিতির গ্রাহক সদস্য অথবা তার প্রতিনিধি কর্তৃক ভয়-ভীতি প্রদর্শন অথবা শারীরিক নির্যাতন করবে।
গ্রাহকের বিলিং এর সুবিধার্থে মিটার রিডিং প্রভৃতি কাছে সমিতির প্রতিনিধিকে আয়না লোক সকল সহযোগিতা করতে গ্রাহক সদস্য সমিতির নিকট অঙ্গীকারবদ্ধ।
মিটার কার্যকারিতা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকলে সর্বশেষ বিল সব কেবিল পরিষদ করে মিটার টেস্টিং ফ্রি জমা দিলে মিটার টেস্টিং করা হবে।
বাড়ি, বাণিজ্যিক, সেচ ও রাস্তার বাতির ক্ষেত্রে বিল তৈরির তারিখ হতে ২০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। উক্ত বিল ২০ দিনের মধ্যে পরিষদ করতে অপরাগ হলে বিলের শতকরা ৫ ভাগ অতিরিক্ত মাশুল বিলের সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে। বিল তৈরির ৩০ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ ব্যর্থ হলে পরের দিন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণ যোগ্য বলে গণ্য হবে।
কারেন্ট বিল সঠিক কিনা দেখুন
বর্তমানে প্রত্যেকটি জেলার প্রত্যেকটি গ্রামে কারেন্ট নেই এরকম কোন বাসা খুঁজে পাওয়া যাবে না। এর মধ্যে অধিকাংশ মানুষ বলে থাকে যে ডিজিটাল মিটারে নাকি বিল বেশি আসে। ডিজিটাল মিটারে একটু বেল বেশিই আসে। মাসে আপনার কারেন্ট বিল বেশি মনে হচ্ছে তাহলে আপনার করণীয় কি। কারেন্ট বিল এর কাগজ হাতে পাওয়ার পর আপনি নিজেই সঠিক কারণ বিল বের করতে পারবেন।
বর্তমানে এখন ঘরে বসে খুব সহজেই আপনি নিজে নিজে ডিজিটাল মিটারের বিল বের করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার মিটারের কাছে যেতে হবে এবং স্কিনে দেখবেন kWh লেখা রয়েছে। তারপর আপনাকে যেটা করতে হবে, আপনাকে এ ব্যবহৃত ইউনিটি একটি খাতায় তুলে রাখতে হবে কিংবা মনে রাখতে হবে। তারপর আপনার গত মাসের বিলের কাগজে দেখবেন উপরের লেখা রয়েছে বর্তমান ইউনিট। এরপর যা করবেন চলতি মাসের বিল এবং গত মাসের বিল বিয়োগ করবেন।
আপনার মিটারের যে kWh থাকবে, সেটির সাথে ১০৯০ এ বিয়োগ করতে হবে তারপর বিয়োগ করে যেটা আসবে সেটা আপনার ইউনিট বিলের টাকা সেটাই পরিশোধ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান
বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
আমরা এখন জানবো কিভাবে আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করতে পারি এবং বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়। আমরা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক জিনিস ব্যবহার করে থাকি, যার ফলে আমাদের বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি পরিমাণে আসে। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক জিনিস আছে যেগুলো থেকে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে।
এর জন্য আমাদের উচিত সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহার করা। আমরা রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবো সেগুলো যাতে বিদ্যুৎ শাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পন্ন হয়। আমরা নিয়মিত মেয়েটার চেক করব, কত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখবো স্বাভাবিকভাবে তুলনায় হচ্ছে তাহলে মেয়েটা ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা যাচাই করব।
দেখা যায় অনেক সময় মিটারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভুল এডিটিং আসতে পারে যার ফলে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। ইলেকট্রিক বিভিন্ন ডিভাইস বা সামগ্রী ব্যবহারের পর ইলেকট্রিক সামগ্রী প্লাগ খুলে রাখতে হবে। অনেক ডিভাইস স্ট্যান্ড বাই মধ্যে থাকা সত্ত্বেও বিল বেশি আসে। বন্ধ থাকলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়ে থাকে এজন্য কোন বৃদ্ধির সামগ্রীর ব্যবহার চার্জ করার পর অবশ্যই সকেট থেকে প্লাগ খুলে রাখুন।
আমরা সাধারণত গরমকালে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ করে থাকি। এই সময়ে ফ্যান বা এসির ব্যবহার অনেকটা বেড়ে যায়। তাই সবার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি এসি ব্যবহার করছেন কিন্তু এসি বেশি ব্যবহার করলে যে অনেক বেশি বিল দিতে হবে এমন কোন কথা নেই। এসির তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী বা তার ওপরে রাখুন। দিনের বেলা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ না করে প্রাকৃতিক আলো বাতাসে প্রবেশের জন্য জানালা বা দরজা পুরোপুরি খুলে রাখুন। সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ বন্ধ করতে ভাড়ি পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে রুম শীতল রাখতে সারাক্ষণ এসি বা ফ্যান চালাতে হবে না।
আপনারা যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চান তাহলে আপনার ঘরের যে ইলেক্ট্রনিক আছে যেমন রেফ্রিজারেটর টি ভি ওয়াশিং মেশিনের মত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়মিত ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করুন। এগুলো কোন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যেতে পারে সুতরাং পুরানো সামগ্রী থাকলে সেগুলো ভালোভাবে সার্ভিসিং করান সম্ভব হলে আধুনিক ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য কিনুন।
শেষ কথাঃকারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের দেখিয়েছি কিভাবে খুব সহজেই কারেন্ট বিল বের করা।। যায়। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনারা খুব সহজে কারেন্ট বিল বের করবেন। কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম বা উপায় আমরা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা প্রায় সবাই মনে করেন যে আপনার কারেন্ট বিল বেশি আসছে। তাই আমি আজকে এই পোস্ট বাটি গুলোর মাধ্যমে খুব সহজে কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি
আশা করছি আজকে এই পোস্ট বাড়াটিকেল থেকে আপনি নিজেই কারেন্ট বিল বের করতে পারবেন। খুব সহজে আপনি যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন।
বর্তমানে প্রত্যেকটি জেলায় প্রত্যেকটি গ্রামে কারেন্ট রয়েছে। বর্তমানে কারেন্ট নেই এমন কোন বাসা বাড়ি খুব কম পাওয়া যায়। আর প্রায় সব বাসায় ডিজিটাল মিটার রয়েছে। আর এই পোস্টটিতে আমি আপনাদেরকে ডিজিটাল মিটার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা পুরোটা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন। আশা করছি আমার এই পোস্টটি থেকে আপনার যাবতীয় সমস্যার সমাধান পেয়েছেন। এই পোস্টে পড়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন।
জুঁই ২৪নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url